আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। এর পর থেকে জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ এবং ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে। বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, কিছু অতিবাম লোক আন্দোলনের দিক পরিবর্তন করতে চাইছে। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান থাকাকালীন সব ঠিক ছিল, কিন্তু ‘মনুবাদ থেকে আজাদি’ স্লোগান উঠলে আন্দোলনের অভিমুখ বদলের অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনাটি নিয়ে বর্তমানে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে কারণ আজ মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচি রয়েছে। সোমবার শিলিগুড়িতে ‘ভোর দখল’ অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গাপুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ নতুন একটি অভিযান চালু করবে, যা নবান্ন অভিযানের মতো হবে। এখানেই তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে চলা আন্দোলনের দিক পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে, যা বিজেপি নেতৃত্ব করছেন। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং প্রাক্তন সাংসদ-বিধায়ক দিলীপ ঘোষ এই প্রশ্ন তুলেছেন। শনিবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ডের বিচার মঞ্চের একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, কেন ‘আজাদি’র স্লোগান উঠবে এবং কেন ‘মনুবাদ থেকে আজাদি’র স্লোগান উঠবে। তার মতে, এই আন্দোলন অতি বামপন্থীদের হাতে চলে যাচ্ছে এবং এটি বর্তমানে আলোচিত বিষয়।
1.1 Some left-minded people are trying to divert the movement against the RJ Kar incident by raising slogans like 'Azadi from Manuvad, Azadi from Brahmanism' from the protest stage. Why? What is the connection between freedom and fair justice?This is the stench of #ultraleftism ! pic.twitter.com/y1zXR8aiPu
— Dilip Ghosh (Modi Ka Parivar) (@DilipGhoshBJP) September 6, 2024
একদিকে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও পুলিশের উপর হামলার নামে আন্দোলন হচ্ছে, অন্যদিকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা বাংলার মানুষ দেখেছে। দিলীপ ঘোষ মনে করেন, কলকাতা পুলিশের দোষত্রুটি নিয়ে সমালোচনা না করে হামলার দিক পরিবর্তন করা হচ্ছে। তাঁর মতে, এই আন্দোলন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অক্সিজেন জোগাবে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা মনে করেন যে, নারী সুরক্ষা ও স্বাধীনতায় বিজেপির কোনো ভূমিকা নেই, এবং এই আন্দোলন নারী স্বাধীনতার দাবিতে হচ্ছে। এখন সব রাজনৈতিক দলের ভূমিকা প্রকাশ্যে আসছে, যেখানে তৃণমূল ও বিজেপি একই মুদ্রার দুই পিঠ বলে মনে হচ্ছে। তাই যারা আন্দোলনের দিক পরিবর্তনের কথা বলছেন, তারা নারীদের স্বাধীনতা চান না বলে মনে হয়।
দিলীপ ঘোষ অভিমুখ পরিবর্তনের সমর্থনে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল যাচাই করেনি। দিলীপ ঘোষের মতে, এই অভিযোগ আন্দোলনে প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ আন্দোলনের নামে হামলা ও ভাঙচুর সরকারের জন্য লাভজনক হতে পারে। তিনি মনে করেন, আন্দোলনের দিক পরিবর্তন নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে দোষারোপ শাসক দলের স্বস্তি বাড়াবে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত আছে, যা এই মন্তব্যকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।