কথা নেই,বার্তা নেই রাত দখলের নাম করে রাস্তায় নামছে ! মেয়েদের ‘রাত দখল’ অভিযান নিয়ে অসন্তুষ্ট মমতা!
রাজ্যবাসী ‘অভয়া’র জন্য দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চাপ সৃষ্টি করতে ‘রাত দখল’ আন্দোলনে নেমেছে। ১৪ আগস্ট মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন প্রায় প্রতি রাতেই অব্যাহত আছে। সুপ্রিম কোর্টে ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানির আগের সোমবার, রবিবার রাতেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ মিছিল করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ‘রাত দখল’ আন্দোলনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং সোমবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।
‘রাত দখল’ অভিযানের সময় কিছু অঞ্চলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মহিলাদের হেনস্থা এবং পুলিশের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলন যদিও সাড়া জাগিয়েছে, তবে এই সমস্যাগুলিও সৃষ্টি হয়েছে। সোমবারে মুখ্যমন্ত্রী এসব উল্লেখ না করে বলেন, “প্রতি রাতে যদি আপনারা রাস্তায় থাকেন, তাহলে অনেকের সমস্যা হয়। বহু এলাকায় বয়স্ক মানুষ আছেন, যাদের আলো জ্বালালে ঘুমোতে অসুবিধা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, রাত ১০টার পর মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও প্রায় প্রতিদিন এসব হচ্ছে। আমরা সব ছেড়ে দিয়েছি, এক মাস হয়ে গেছে। আমি অনুরোধ করছি, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।”
নবান্নে সাংবাদিকদের সাথে মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি বলেন, “সেদিন স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা যে সমস্ত দাবি করেছিলেন, তার সবটাই মেনে নেওয়া হয়েছে। আপনারা অধ্যক্ষ এবং MSVP-র পরিবর্তন চেয়েছিলেন, যা অবিলম্বে করা হয়েছে। চারটি দাবি ছিল, সবই পূরণ করা হয়েছে। তারপরও কেন কাজে ফিরছেন না?” তিনি আরও বলেন, “যে সমস্ত আন্দোলন হয়েছে, তা অনুমতি ছাড়া হয়েছে। অনুমতি নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টও আজ ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। আমিও পুনরায় অনুরোধ করছি, কাজে ফিরে আসার জন্য।” এই প্রসঙ্গে তিনি সরকারি হাসপাতালের রোগীদের চাপ এবং চিকিৎসকদের দায়িত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করেন।
কলকাতার নাগরিক সমাজের আহ্বানে শুরু হওয়া এই আন্দোলন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার, ভারতীয় নাগরিকরা অন্তত ২৪টি দেশে পথে নেমেছেন। সিডনি, অকল্যান্ড, প্যারিস, জুরিখ – সবাই বিচারের দাবিতে একই সুরে মিলিত হয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনের এই তীব্রতার পেছনের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, “বাংলার নামে বদনাম হচ্ছে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে, এবং যারা এখান থেকে পড়াশোনা করে বাইরে গিয়েছেন, তারা বাংলার একপেশে কথা শুনে বদনাম করছেন। এটা কাম্য নয়।”