গরু পাচার মামলায় জামিন পেলো অনুব্রত মন্ডল। ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে মুক্তি।
বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়েছেন। তাঁর জামিন ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে সিবিআই মামলায় জামিন পাওয়ার পর, এবার ইডির মামলায়ও তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, তিহাড় জেল থেকে তিনি শীঘ্রই মুক্তি পাবেন। এই মুক্তির ফলে পুজোর আগে তিনি বীরভূমে ফিরতে পারবেন। সম্প্রতি তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও জামিন পেয়েছেন।
২০২২ সালের ১১ অগস্ট গরু পাচারের মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরবর্তীতে, ২০২৩ সালে একই মামলায় তাঁর কন্যা সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর বাবা ও কন্যা উভয়কেই তিহাড় জেলে রাখা হয়, এবং তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সম্প্রতি, সিবিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুব্রত জামিন পান। যদিও ইডির মামলায় তাঁকে জেলে থাকতে হয়, শুক্রবার সেই মামলায়ও তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়।
দুই বছর আগে, বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকা থেকে অনুব্রতকে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে সিবিআই গ্রেফতার করে। প্রথমে তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়, পরবর্তীতে তিহাড় জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি সেই সময় থেকে তিহাড়ে বন্দি ছিলেন। একই মামলায়, ওই বছরের নভেম্বরে ইডি তাঁকে আবার গ্রেফতার করে। অনুব্রত বারবার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন যে, গরু পাচার মামলায় অন্য অভিযুক্তরা মুক্তি পেলেও তাঁর মক্কেলকে আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বারবার অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করে। তারা বলে যে, অনুব্রত এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত এবং জামিন পেলে তিনি প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন। এই যুক্তিতে তাঁর জামিন বেশ কয়েকবার খারিজ হয়। শেষ পর্যন্ত, সিবিআই এবং ইডি উভয় মামলাতেই অনুব্রতের জামিন মঞ্জুর করে।
বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার পরেও দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অনুব্রতের মুক্তির আশায় তাঁর অনুসারীরা দিন গুনছিলেন। দিল্লি হাইকোর্ট থেকে সুকন্যা জামিন পেয়েছেন, এর পর তাঁরা আরও আশাবাদী হয়েছিলেন। শেষমেশ শুক্রবার তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে।