সন্দীপের জামিন পাওয়াই উচিত! শিয়ালদা আদালতে তোপের মুখে সিবিআই এর আইনজীবী !
শিয়ালদা আদালতে সিবিআই পুনরায় সমালোচনার মুখে। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আগ্রহী। আবেদনে পদ্ধতিগত ভুল থাকায় বিচারক ক্ষুব্ধ হন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, সিবিআই সন্দীপকে পুলিশ হেফাজতে অথবা জেল হেফাজতে পাঠানোর জন্য আবেদনই করেনি। তাই অভিযুক্তের জামিন পাওয়া উচিত।
জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, সোমবার সিবিআই এই ঘটনার দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে। গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী বলেন, তদন্ত সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে এই দুইজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। এর জন্য তাদের হেফাজতে নেওয়া দরকার। প্রথম আবেদনে ভুল থাকার কারণে, সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান যে তারা নতুন করে আবেদন করবেন, যাতে আদালত সম্মতি দেয়।
সমস্যাটি এখান থেকেই শুরু। দ্বিতীয় পিটিশনে ত্রুটি থাকায় বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পিটিশনে এটি উল্লেখ নেই যে সিবিআই সন্দীপ ঘোষের ব্যাপারে কী করতে চায়। সিবিআই তাকে তাদের হেফাজতে নেবে কিনা বা জেল হেফাজতে রাখবে কিনা, তার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আবেদন করা হয়নি। এরপর বিচারক তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, সিবিআইকে ওই দুই জনকে জেরা করতে জেলে যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট তারিখে জেলে গিয়ে তারা জেরা করতে পারবেন।
সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি স্থাপনে বিলম্বের জন্য সুপ্রিম কোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও, জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বিশ্রামাগার এবং শৌচালয় নির্মাণে দেরি হওয়ার প্রশ্ন তুলেছে আদালত। নিরাপত্তা বিবেচনা করে সিসিটিভি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, যার অনুসারে সরকারি হাসপাতালের ২৬ শতাংশ জায়গায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এমন দাবি করেছে। একই সঙ্গে, আরজি কর ঘটনায় অভিযুক্তদের সরকারি পদ থেকে অপসারণের দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং শীর্ষ আদালত ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সিসিটিভি স্থাপন সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে।