পুজোর দিনগুলো হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে কত রাত অবধি লোকাল ট্রেন চলবে তা জেনে নিন!
দুর্গাপুজো বাংলার গর্ব এবং বাঙালির আবেগের প্রতীক। মহালয়া দিয়ে দেবীপক্ষের শুরু হয়ে যায়। চতুর্থী ও পঞ্চমী থেকে কলকাতার পথে মানুষের স্রোত নামে। বিভিন্ন জেলা থেকে লোকেরা মহানগরীর দুর্গা প্রতিমা দেখার জন্য ছুটে আসে। এই দৃশ্য প্রতি বছর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, পূর্ব রেল একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুজোর সময়ে হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে কত রাত পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলবে তা ঘোষণা করা হয়েছে।
কলকাতা থেকে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার পথে অনেকেরই গভীর রাত হয়ে যায়। দর্শনার্থীদের কোনও অসুবিধা এড়াতে, হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুর্গাপুজোর সময়ে এই দুই ডিভিশনে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে, এবং বড় রেল স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত কাউন্টার খোলা হবে।
ভিড়ের মধ্যে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে না হয় সেজন্য অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার খোলা হচ্ছে। প্রতিটি স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিনও চালু থাকবে। পুজোর দিনগুলিতে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেশনে কর্মীরা থাকবেন যাত্রীদের টিকিট কাটাতে সাহায্য করার জন্য। এছাড়াও, যাত্রীদের সুবিধার্থে পুজোর সময় রেল স্টেশনে পণ্যবহনকারী ট্রলিগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
সপ্তমী, অষ্টমী, এবং নবমীর রাতে হাওড়া-বর্ধমান মেইন এবং কর্ড লাইনে তিনটি লোকাল ট্রেন চলবে। হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাহুল রঞ্জন জানান, ‘প্রাথমিক আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রাত ১১:৪৫, ২:৪৫ এবং ৪:০০ টায় হাওড়া থেকে ট্রেনগুলি ছাড়বে। সাধারণত হাওড়ায় ২৪টি কাউন্টার খোলা থাকে, কিন্তু পুজোর সময় মোট ৩০টি কাউন্টার খোলা থাকবে।’
যাত্রীদের আরামের জন্য, গভীর রাতে লোকাল ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি, স্টেশনগুলিতে মেডিক্যাল সাহায্যের বুথ স্থাপন করা হবে। পুজোর সময়ে, বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনের পাশাপাশি, হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনের ফুডপ্লাজাগুলিতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সাত্ত্বিক এবং পুজো স্পেশাল মেন্যু পাওয়া যাবে। শিয়ালদহ মেন, শিয়ালদহ দক্ষিণ, এবং বনগাঁ শাখায় গভীর রাতে ট্রেন চালানোর কথা জানানো হয়েছে। এই সব ব্যবস্থার সাথে, যাত্রী নিরাপত্তায় রেলের কড়া নজর থাকবে। পূর্ব রেলের আইজি পরমশিব জানিয়েছেন, জিআরপির সঙ্গে হাওড়া, শিয়ালদহ সহ সকল বড় স্টেশনে ৫০০ আরপিএফ কর্মী নিয়োজিত থাকবে।