পুজোর আগেই আন্দোলন ভিন্ন দিকে মোড় নিতে কর্মবিরতি তুলে নতুন পথে জুনিয়র ডাক্তারেরা!
সিনিয়র চিকিৎসকদের পরামর্শ ও রোগীদের স্বার্থ বিবেচনা করে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আন্দোলনের দিকনির্দেশ এবং ভবিষ্যতের কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য তারা প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে প্যান জিবি (জেনারেল বডি) বৈঠক করেছেন। যদিও বৈঠকের সম্পূর্ণ বিবরণ এখনও অজানা, তবে জুনিয়র ডাক্তারদের মতামত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের কনভেনশনে উঠে আসা প্রস্তাবগুলির প্রতি সম্মান জানিয়ে পুজোর আগে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া এবং আন্দোলনকে নতুন মোড় দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। আন্দোলনের ‘নতুন মোড়’ নিয়ে জিবিতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, বৈঠকে কিছু সদস্য আংশিক কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেন। অন্য এক দল আধাখেঁচড়া কর্মবিরতির বিরোধী। তারা কর্মবিরতি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে আন্দোলনকে অন্য উপায়ে আরও সংগঠিত করার পরামর্শ দেন। প্রায় সবাই আন্দোলনকে একতাবদ্ধ রাখা এবং কার্যকর আন্দোলন চালানোর পক্ষে জোর দেন। তাই কর্মবিরতি উঠিয়ে নিলেও জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর পথেই এগোবেন।
কিন্তু চাপ বাড়ানোর কৌশল কী হবে, তা এখনও অস্পষ্ট। শুক্রবার জুনিয়র চিকিৎসকদের এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা। সূত্র অনুযায়ী, মিছিল শেষে তারা নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা সেখান থেকেও করা হতে পারে। এর ফলে, পুজোর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে পরিবর্তন আসতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার, সিনিয়র ডাক্তাররা জুনিয়রদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে তারা পূর্ণ কর্মবিরতি থেকে সরে এসে আন্দোলনের অন্যান্য উপায় খুঁজুক। কিছু ডাক্তার আংশিক কর্মবিরতি প্রত্যাহারের প্রস্তাবও দেন। সিনিয়রদের সাথে বৈঠকের পর, জুনিয়র ডাক্তাররা আরজি করের নিজেদের মধ্যে জিবি বৈঠকে বসেন। পরে রাতে, সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্যান জিবি বৈঠক শুরু হয় এবং রাতভর চলে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো জানান, কর্মবিরতির বিকল্প হিসেবে কী কী পন্থা অনুসরণ করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে আলোচনা করার জন্যই এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।