কানাডা পুলিশ দাবি করেছে যে ভারত সরকার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাথে হাত মিলিয়েছে। হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় এই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। তাদের মতে, বিষ্ণোই গ্যাং এবং ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। কানাডা পুলিশ আরও জানিয়েছে যে ভারত সরকার বেশ কয়েকজনকে জোর করে কাজ করানোর জন্য হুমকি দিয়েছে। সম্প্রতি, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং বাবা সিদ্দিকির হত্যার দায় স্বীকার করেছে, যার পর থেকে কানাডায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ এক সাংবাদিক বৈঠক আয়োজন করে। সেখানে তারা স্পষ্ট করে বলে, “ভারত সরকারের প্রতিনিধিরা কানাডা সহ বিভিন্ন দেশের অনেক ব্যক্তি ও সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। প্রায়শই এই ব্যক্তিদের বা সংস্থাগুলিকে হুমকি দিয়ে তথ্য সংগ্রহে বাধ্য করা হয়। এই সংগৃহীত তথ্য ভারত সরকারের কাছে পাঠানো হয়, যার উপর ভিত্তি করে দক্ষিণ এশীয় জনগণকে লক্ষ্য করা হয়।”
#WATCH | Ottawa, Ontario (Canada): “It (India) is targeting South Asian community but they are specifically targeting pro-Khalistani elements in Canada…What we have seen is, from an RCMP perspective, they use organised crime elements. It has been publically attributed and… pic.twitter.com/KYKQVSx7Ju
— ANI (@ANI) October 14, 2024
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ভারত কি শিখ সম্প্রদায়কে বিশেষ করে লক্ষ্য করছে? কানাডা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ব্রিজেট গভিন স্পষ্ট জানান, কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থীরাই লক্ষ্য করা হচ্ছে। ভারত ঘোষিত অপরাধীদের সাহায্য নেওয়ার ক্ষেত্রেও পিছপা হচ্ছে না। ব্রিজেটের দাবি, “প্রতিটি ঘটনায় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নাম প্রকাশ্যে জড়িত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এই গোষ্ঠীর সাথে ভারত সরকারের গভীর সম্পর্ক আছে।”
দশেরার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। এই খুনের জন্য দায়ী বিষ্ণোই গ্যাং। যদিও ভারতে তাদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ বেশি, কানাডাতেও তাদের প্রভাব রয়েছে। কানাডা দাবি করেছে যে, তাদের প্রভাব ব্যবহার করে ভারতে খুনের ছক কষা হয়েছে। অভিযোগ সত্ত্বেও, জাস্টিন ট্রুডোর সরকার এখনও কিছু প্রমাণ করতে পারেনি, যার ফলে বিতর্ক বাড়ছে। কানাডা পুলিশ কি এনসিপি নেতার খুনের পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের উল্লেখ করছে? এমন প্রশ্ন উঠছে।