২০২৫ সালেই শুরু হতে চলেছে জনগণনা ! হাল নাগাদ তথ্য প্রকাশ্যে আসতে পারে ২০২৬-এ!
আগামী বছর থেকে জনগণনা শুরু হতে পারে, যা ২০২৫ সালের পুরো বছর জুড়ে চলবে। এরপর, ২০২৬ সালে নতুন জনগণনার তথ্য প্রকাশিত হতে পারে। এই তথ্য সরকারি সূত্র থেকে পাওয়া গেছে। সাধারণত, প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হয়ে থাকে। সর্বশেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। যদিও ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল, করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্পন্ন হয়নি। এর ফলে, জনগণনা প্রক্রিয়া চার বছর ধরে স্থগিত ছিল। এখন, অবশেষে প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে, যা মোদী সরকারের অধীনে প্রথম জনগণনা হবে।
সূত্র অনুযায়ী, জনগণনা শেষ হওয়ার পর লোকসভা কেন্দ্রগুলির পুনর্বিন্যাস করা হবে। ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে, ২০২৮ সালের মধ্যে পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন হবে। জনসুমারির জন্য চার বছরের অপেক্ষা এবং জাতিগত সমীক্ষার দাবি উঠেছে। বিরোধী দলগুলি জাতিগত সমীক্ষার দাবি করেছে, কিন্তু সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। জনসুমারির প্রক্রিয়ায় কোন তথ্যের উপর জোর দেওয়া হবে তা স্পষ্ট নয়, তবে সাধারণ, তফসিল জাতি এবং জনজাতির ভিত্তিতে তথ্য সমীক্ষায় জায়গা পেতে পারে।
#Congress hits out at Centre over #Census plans
It is unfortunate and shocking to hear that PM Modi's govt has decided to keep OBC away from the Census…: @manickamtagore @prathibhatweets shares more details. pic.twitter.com/DCbRPM98Zk
— TIMES NOW (@TimesNow) October 28, 2024
মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণ বর্তমানে দেশের জনগণনা কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি, তাঁর মেয়াদকাল ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে শীঘ্রই জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। গত অগস্টে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জনগণনার প্রশ্নে বলেছিলেন, “জনগণনা উপযুক্ত সময়ে করা হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা জানানো হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এবারের জনগণনা পুরোপুরি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে।
জনগণনা নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের পর কংগ্রেস সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানিয়েছে। ১৯৫১ সাল থেকে তপসিলি জাতি এবং জনজাতির পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়ে আসছে। এখন প্রশ্ন হল, আগামী জনগণনায় কি প্রতিটি জাতির পৃথক পরিসংখ্যান থাকবে? এ বিষয়ে কংগ্রেস কেন্দ্র থেকে স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছে।