‘অযোগ্যরা পেয়েছে, যোগ্যরা পায়নি’ !আবাস যোজনার তালিকায় ‘ভুল’ ধরিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী !
এ বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবাস যোজনার তালিকা প্রস্তুতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। নবান্ন থেকে বহু সতর্কতা নির্দেশ এসেছিল। তবুও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘ভুল’ ধরিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, “আবাস যোজনার তালিকা ভুলে ভরা। ভারত সরকার ১৭টি টিম পাঠিয়েছিল। অযোগ্যরা পেয়েছে, যোগ্যরা পায়নি।”
এরপর শুভেন্দু এসএসকেএম হাসপাতালে জং ধরা কাঁচির ঘটনা তুলে ধরেন। গতকাল এসএসকেএমে এক অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসক জং ধরা কাঁচি দেখতে পান। শুভেন্দু বলেন, “এসএসকেএমে জং ধরা কাঁচি পাওয়া যাচ্ছে। আবাস যোজনার বাড়ি চাইলে নাম বাদ পড়ছে। যে নাম আসছে সে তৃণমূলের লোকের। বিস্তারিত জানাতে পারি।”
আবাস যোজনার ঘরের তালিকা প্রস্তুতিতে নিয়োজিত অসংখ্য সরকারি কর্মচারী। সেখানেও ‘গলদ’ দেখেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে, “সার্ভে করতে যাওয়া চোর নেতারা টাকার অফার দিচ্ছে। সবাই লুটপাটের চেষ্টা করছে।”
শুভেন্দু ভোটের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের উপর আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “সরকারের মেয়াদ আর ১৫ মাস। কালিয়াচকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। মথুরাপুরে তালা ঝুলানো হয়েছে। ভুয়ো বিডিও’র সংখ্যা অনেক। অনেকের চাকরি চলে যাবে। মেল করে আদালতে যাওয়ার কথা বলছি। আন্দোলন করে, এদের আটকে রাখুন। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে সরকার বিপাকে পড়বে। মমতা সাত লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন, আবারও নেবেন।”
সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য হল, “মমতা বন্দোপাধ্যায় সিপিকে সমর্থন করছেন। এটা শুধু দেখানো। আমি বলছি, তন্ময় ভট্টাচার্যকে হেপাজতে নিয়ে তরুণীর সামনে জেরা করা উচিত। স্বাধীন সংস্থা দিয়ে তদন্ত করান। না হলে দায়িত্বশীল মহিলা অফিসার আছেন, তাঁরা তদন্ত করুক। আরজিকর থেকে জয়নগর পর্যন্ত মুখে কালি মেখে বসে থাকা তৃণমূল মহিলা-দরদী সাজছে।”
শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের ৭২টি স্থানে মমতা সরকার জমি প্রদান করছেন না। জমি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, তা না হলে সরাসরি অধিগ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, “সম্প্রতি ৪১ জন আটক করা হয়েছে। মমতা গোটা ভারতে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। হিন্দুদের নয়টি জেলা হারানো গেছে। ভবিষ্যতে সনাতনীদের জন্য এটি হবে না। বিভিন্ন স্থানে মা দূর্গার মূর্তি ভাঙা হয়েছে।”
