ডিয়ার লটারির অফিসে ৬৩ ঘন্টা তল্লাশিতে উদ্ধার ৯ কোটি,যোগ পাওয়া গেলো অভিষেকের, বিস্ফোরক শুভেন্দু!
লটারি কেলেঙ্কারিতে তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED ) বড় সাফল্য। কলকাতা ও চেন্নাইয়ের অফিসগুলিতে অভিযান চালিয়ে তারা ৯ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। কলকাতার লেক মার্কেটের কাছের একটি বহুতল ভবনে তল্লাশি শেষ হলেও, ইডি আরও কয়েকটি স্থানে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে।
উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে (Lottery Scam)। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের পর রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীরা, বিজেপি সহ, একযোগে শাসক দলের উপর আক্রমণ করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
তিনি বলেছেন, ডিয়ার লটারি এবং মাটিন লটারি সম্পর্কে গত দুই বছর ধরে আমি কথা বলে আসছি। এগুলো সব ভাইপো লটারি। তৃণমূলের ইলেক্টোরাল বন্ডে ৬০০ কোটি টাকা আসার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন যে, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকারকে ট্যাক্স হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে লটারি জিতেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। জোড়াসাঁকোর এমএলএ বিবেক গুপ্তা ও তাঁর স্ত্রীও লটারি জিতেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ টাকা পাচ্ছেন না। দক্ষিণ ভারতের ডিএমকে এবং বাংলায় টিএমসি এই নিয়ে ব্যবসা করছে, এমন মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, এই বিষয়ে ভাইপো সরাসরি জড়িত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং কালো টাকা সাদা করার ঘটনা ঘটেছে (Lottery Scam)। এই অভিযোগ পাওয়ার পর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার লেক মার্কেট এবং এয়ারপোর্টের কাছের মাইকেল নগরের একটি বহুতল ভবনে ইডির বিশেষ আধিকারিকরা তল্লাশি চালিয়েছেন।
এই সমস্ত আধিকারিকদেরকে দিল্লি থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। কলকাতা এবং চেন্নাইয়ের মাটিন লাটারির বিভিন্ন অফিসে একসাথে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইডি ইতিমধ্যেই প্রভাবশালী সংযোগ খুঁজে পেয়েছে, এবং বিপুল পরিমাণে নথি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই নথিগুলির ভিত্তিতেই তল্লাশি করা হয়েছে।