হাসিনার ১৫ বছরের সব কুকর্মের বিচার হবে,ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচার করার প্রতিশ্রুতি ইউনূসের !
গত ১৫ বছরের সকল অন্যায়ের বিচার আমি করবো, হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করা হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে এবং মহম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হন। তার নেতৃত্বে যে দেশে শান্তি ফিরে আসেনি, তার প্রমাণ বারবার মিলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তির উপলক্ষে ইউনূস দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং সেখানে তিনি হাসিনার বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন।
অগাস্টে গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান। এর ফলে আওয়ামী লিগের সরকার পতন হয়। তারপর থেকে তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস বলেছেন, তারা ভারতের কাছে হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি করবে। ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, এবং সেদিনই তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান। তিনি এখনও ভারতে অবস্থান করছেন।
ইউনূস পূর্বেই দাবি করেছেন যে, অগাস্টের গণবিক্ষোভে ছাত্র ও শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন নিহত হয়েছেন। প্রায় চার হাজার বাংলাদেশী রক্তাক্ত হয়েছেন। সেদিন ইউনূস জাতির সামনে ভাষণ দিয়ে বলেন, এই সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে। তিনি বলেন, শুধু জুলাই ও অগাস্টের হত্যাকাণ্ড নয়, গত পনেরো বছরের সকল অপকর্মের বিচার হবে।
হাসিনা দেশ ত্যাগের পরে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের কঠিন পরিণতি হয়েছে। হাসিনা আমলের অনেক নেতা ও মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ইউনূস এখন মুজিব-কন্যাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সংকল্প নিয়েছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেখানে হিংসার শিকার হয়েছে, সেই অভিযোগগুলির তদন্ত চলছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং ‘আমরা এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব’, বলেন ইউনূস। তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় বাংলাদেশ ছিল নিরাপত্তাহীন। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভীতি ছড়ানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে, যদিও তা অতিরঞ্জিত করে প্রচারিত হয়েছে। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাস পর প্রায় ৩২ হাজার পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা পালিত হয়েছে। যে ছোট ছোট হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা মূলত রাজনৈতিক ছিল, বলেন ইউনূস।