বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ২০২৪-২৫ এর শুরুর প্রথম দিনেই পড়লো ১৭ টি উইকেট!
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ২০২৪-২৫ এর শুরুতেই ভারত বিপর্যস্ত হয়েছে,অন্যদিকে বুমরার চাপে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়া । পার্থ টেস্টে নেমে ঋষভ পন্থ ও তাঁর দল কোনোরকমে ১৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছেন। অন্যদিকে ৭ উইকেটে ৬৭ রানে আটকে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
ভারতীয় ব্যাটাররা ৫০ ওভারও খেলতে পারেননি। নীতীশ রেড্ডি তাঁর প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে ৪১ রান করেন, যা ছিল ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে জশ হ্যাজেলউড সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, চার উইকেট নিয়ে ২৯ রান দিয়ে।
পারথ সবসময়ই পেসারদের জন্য স্বর্গ। ঘাসে মোড়া পিচ থেকে উচ্চতা নিয়ে উঠবে প্রতিটি দ্রুত গতির বল। ভারতের পুরনো দুর্বলতা হলো এই ধরনের বোলিংয়ের সামনে নিজেদের সমর্পণ করা। এই শুক্রবারেও তা ব্যতিক্রম হয়নি। টস জিতে ব্যাটিং নির্বাচন করেন ভারতীয় অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নেয়। মাত্র দুই সেশনের মধ্যেই ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায়।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে যশস্বী জয়সওয়াল আউট হয়ে যান। মিচেল স্টার্কের বলে আগ্রাসী শট খেলে উইকেট হারান ভারতীয় ওপেনার। এরপর পাড়িক্কল রাহুলের সাথে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি বেশি রান করতে পারেননি। পারথ টেস্টে বিরাট কোহলি মাত্র ১২ বল খেলেন এবং ৫ রান করে আউট হন। রাহুল ২৬ রানে বিতর্কিতভাবে আউট হন। লাঞ্চের বিরতির আগে ভারত ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায়।
দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়াশিংটন সুন্দর ও ধ্রুব জুরেল দ্রুত আউট হয়ে যান। এরপর ঋষভ পন্থ অজিদের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন প্রথম টেস্ট খেলা নীতীশ। তারা দুজনে মিলে ৪৮ রানের একটি আগ্রাসী পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। কিন্তু পন্থের আউট হওয়ার পর ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙে পড়ে। পন্থ ৩৭ রান করেন। অভিষেক টেস্টে হর্ষিত রানা ৫ বলে ৭ রান করেন। টেলএন্ডারদের চেষ্টায় ভারত ১৫০ রানের গণ্ডি পেরোয়। প্যাট কামিন্স, মিচেল মার্শ, এবং মিচেল স্টার্ক প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
Captain got the captain, india playing really well now.#INDvsAUS#bordergavaskartrophy2024pic.twitter.com/6wHRhyZQFF
— Border Gavaskar Trophy (@BGT2024_25) November 22, 2024
ভারতের ইনিংসের শেষে বুমরার সিদ্ধান্ত যতটা খারাপ মনে হচ্ছিল, দিনের শেষে তা আর ততটা খারাপ মনে হয়নি। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড এবং প্যাট কামিন্স অস্ট্রেলিয়াকে একটি সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দিনের শেষে বুমরা, হর্ষিত রানা এবং সিরাজের পাল্টা আক্রমণে অস্ট্রেলিয়া সেই সুবিধা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। কোহলি যদি সহজ ক্যাচ ফেলে না দিতেন, তাহলে অস্ট্রেলিয়া আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারত। লাবুশেন ৫২ বল খেলে মাত্র ২ রান করে প্রায় দিনের শেষে আউট হন। তিনি ভারতের জোরালো বোলিংয়ের বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে থাকলেও উইকেটে টিকে ছিলেন। তাঁর ইনিংসে রান করার কোনো তাগিদ ছিল না, বরং বলের পালিশ তুলে দ্রুত পুরনো করাই যেন তাঁর লক্ষ্য ছিল। লাবুশেন সম্ভবত দ্বিতীয় দিনের সকালের কথা মাথায় রেখে খেলছিলেন। সেই সুবিধা কাজে লাগাতে হলে অস্ট্রেলিয়াকে উইকেট বাঁচিয়ে রাখতে হত। কিন্তু উসমান খোয়াজা, স্টিভ স্মিথ, ট্র্যাভিস হেডরা তা পারেননি। ফলে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৬৭ রানে আটকে গেছে, এখনও ভারতের চেয়ে ৮৩ রানে পিছিয়ে। আয়োজকদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান অ্যালেক্স ক্যারের অপরাজিত ১৯।