ইউক্রেনে হামলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমস্ত দায় কি নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? নাকি, দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফেরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে গুনগান গাইছেন তিনি?
এখন এই প্রশ্নগুলিই তুলছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, প্রেসিডেন্টের বক্তব্য হল, যদি সেই সময় (২০২২ সাল) ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে হয়তো ‘ইউক্রেনের সঙ্কট’ এড়ানো যেত!
এখেই শেষ নয়। এমনকি, ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও ট্রাম্পের দাবির প্রতিধনি শোনা গেছে পুতিনের মন্তব্যে। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে তিনিই বিজয়ী হয়েছিলেন, জো বাইডেন নন। কিন্তু তাঁর সেই বিজয় চুরি হয়েিয়েছিল। এখন পুতিনও সেই একই কথা বলছেন।
সংবাদ সংস্থা এএফপি-র প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, রুশ সরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার পুতিন বলেন, ‘আমি ওঁর (ডোনাল্ডাম্প) সঙ্গে একমত না হয়ে পারছি না – সেই সময়ে যদি তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতেন – যদি ২০২০ সালে তাঁর নির্বাচনী জয় চুরি না করা হত – তাহলে হয়তো ২০২২ সালে ইউক্রেনে যে সংকট দেখা দিয়েছিল, সেই পরিস্থিতি তৈরিই হত না।’
পুতিন বলেন, তাঁর এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাক্ষাৎ করা উচিত। কারণ, তাঁদের একসঙ্গে দেখা করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জ্বালানি সম্পদের মূল্য নিয়ে আলোচনা করা দরকার। রয়টার্সের তরফে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আনা। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, পুতিন নাকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্মার্ট এবং বাস্তববাদী বলে প্রশংসাও করেছেন।
পুতিন আরও বলেন, মার্কিন অর্থনীতির উপর প্রভাবতে পারে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প নেবেন না বলেই আশা করেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘তাই আমার মনে হয়, সবথেকে ভালো হয়, এবং সেটাই বেশি ভালো হয় যে আমরা দু’জনে পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। বর্তমানে যে বাস্তব পরিস্থিতি রয়েছে, উপর ভিত্তি করেই এই সাক্ষাত হোক । যে বিষয়গুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া, এই দুই দেশেরই স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত , সেই বিষয়গুলি নিয়ে ধীরে সুস্থে আলোচনা হোক, কথা হোক। আমরা তার জন্য প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, পুতিন বরং ইউক্রেনের সঙ্গে ‘একটি চুক্তি সম্পাদন করুন’ এবং অবিলম্বে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করুন। ট্রাম্পের সেই বার্তার জবাবে তাঁকে প্রশংসায় ভরালেন পুতিন, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
1 Comment
Pingback: "চাপে ইউনূস"! বাংলাদেশকে 'ভাতে মারার' সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। - প্রথম খ