আগামী মাসেই আমেরিকা সফরে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মোদী ঠিক কবে আমেরিকায় যাবেন, কতদিন থাকবেন এবং সফরসূচিতে কী কী থাকবে, সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিস্তারিত কিছু জানাননি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোদির সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প স্পষ্ট বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির কোনও একটি সময় আমেরিকায় আসবেন মোদী।’ যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প আমেরিকা থেকে অভিবাসীদের ‘তাড়িয়ে’ দিচ্ছেন। সেই নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। আমেরিকার অভিবাসীদের মধ্যে একটি বড় অংশ ভারতীয় জনতা। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “অভিবাসন নিয়ে কথা হয়েছে মোদির সঙ্গে। অভিবাসীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে ভারত সঠিক পদক্ষেপই করবে।” উল্লেখ্য, আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের গ্রহণ করতে রাজি হয়নি কলম্বিয়া। তার ফলে কলম্বিয়ার উপর বিরাট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে আপাতত ভারত সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না এলেও, নয়াদিল্লি ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে উপযুক্ত নথি করা হলে বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। গত সপ্তাহে ভারতীয় বিদেশন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘আমরা বেআইনি অভিবনের বিরোধী। কারণ এটি বিভিন্ন ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘শুধুমাত্র আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই নয়, বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে যদি ভারতীয়রা নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করেন বা উপযুক্ত নথি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাস করেন, তাহলে আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। আমাদের সঙ্গে উপযুক্ত নথি ভাগ করে নিতে হবে, যাতে আমরা তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করতে পারি এবং নিশ্চিত হতে পারি তাঁরা সত্যিই ভারতীয়। যদি সেটাই হয়, তাহলে আমরা পুরো বিষয়টা এগিয়ে নিয়ে যাব এবং তাঁদের ভারতে ফেরানোর প্রক্রিয়া প্রশস্ত করব।’
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বেআইনি অভিবাসীদের ফের মতো ‘ছোট ব্যাপারে ট্রাম্পের মন জিতে নিয়ে ‘বড়’ কাজের পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি। যেখানে এইচ-বি ভিসা, বাণিজ্যের মতো বিষয় থাকতে পারে। আর সেই বিষয়টির প্রতিফলন মোদীর মার্কিন সফরের সময় দেখা যেতে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।